আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাফ বিজয়ী বাংলাদেশের নারী ফুটবলার।সাবাশ বাংলাদেশ!!

ভোরের আলো বিডি ডেস্ক ঃ
বাংলাদেশের মেয়েরা যখন সাফ চ্যাম্পিয়ন। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামের ১৫ হাজার দর্শক যখন একসঙ্গে চিৎকার করে উঠছিলেন ‘নেপাল’, ‘নেপাল’ বলে, মনে হচ্ছিল যেন সাগরের গর্জন।
ফাইনালে আজ স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছেন সাবিনারা।
ম্যাচ শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে হয়েছে তুমুল বৃষ্টি। আর এই বৃষ্টিতে মাঠ হয়ে যায় ভারী। কিন্তু এই ভারী মাঠেও ছন্দময় ফুটবল খেলেছেন মারিয়া, মনিকারা। যেন মারিয়াদের পায়ে ফুল হয়ে ফুটল ফুটবল।
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই সুযোগ ছিল বাংলাদেশের গোল পাওয়ার। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মারিয়ার দূরপাল্লার শট নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা সুব্বা আটকালেও পুরোপুরি গ্লাভসে জমাতে পারেননি। সিরাত জাহানের শট শেষ পর্যন্ত কর্নারের বিনিময়ে ফেরান আনজিলা।
কাদাময় মাঠে নেপালের বিপক্ষে দারুণ ফুটবল খেলেই জিতেছে বাংলাদেশ
কাদাময় মাঠে নেপালের বিপক্ষে দারুণ ফুটবল খেলেই জিতেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ১৪ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে মনিকার বাড়ানো বলে দারুণ ফ্লিকে গোল করেন শামসুন্নাহার। ৩৪ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি–কিক নেন নেপালের দীপা শাহি। কিন্তু শটটি দারুণ দক্ষতায় ফিস্ট করেন রুপনা। গোল শোধে মরিয়া নেপাল তখন পাল্টা আক্রমণে ব্যস্ত। কিন্তু ৪১ মিনিটে নেপালি দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন কৃষ্ণা। সাবিনার ডিফেন্স চেরা পাস ধরে বক্সে ঢোকেন কৃষ্ণা। দুর্দান্ত হাওয়ায় ভাসানো শটে গোলকিপার আনজিলার মাথার ওপর দিয়ে বল জড়ান জালে ২-০।
মাঠের লড়াইয়ে দাপট ধরে রেখেই জিতেছে বাংলাদেশ।
পিছিয়ে পড়া নেপাল তখন মরণকামড় দিতে ব্যস্ত। দলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার সাবিত্রা ভান্ডারি ছিলেন ডেঙ্গু জ্বরে অসুস্থ। পুরোপুরি ফিট না হলেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে নামিয়ে দেন নেপালের কোচ। সাবিত্রা নামার পর আক্রমণ বেড়েছে নেপালের। সাবিত্রা আর অনিতা মিলে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশের বক্সেও ঢুকেছেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে ঢোকেন অনিতা। শামসুন্নাহারকে ফেলে সহজেই ঢুকে যান বক্সে। এরপর কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের জালে জড়িয়েছেন বল। মুহূর্তেই যেন আবারও জেগে ওঠে দশরথ স্টেডিয়াম। কিন্তু সেই উল্লাস আবারও থামিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিল বাংলাদেশ।

নেপালের বক্সের সামান্য বাইরে থেকে সাবিনার বাড়িয়ে দেওয়া বলে আবারও বক্সে ঢোকেন কৃষ্ণা। সামনে তখন শুধুই নেপালের গোলরক্ষক আনজিলা। সহজেই প্লেসিংয়ে কৃষ্ণা করেন ৩-১।

ঢাকা থেকে আসার আগে কোচ গোলাম রব্বানী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবার বদলে যাওয়া বাংলাদেশকেই দেখা যাবে। কথা রেখেছেন তিনি। হিমালয় জয় করেই দেশে ফিরছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ১৯৯৯ সালে এই নেপালেই প্রথমবার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা হয়েছিল বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল। ২২ বছর পর সেই নেপালেই সেরা হলেন মেয়েরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category